ক্যাম্পেইন সম্পর্কিত তথ্য
বাড়ি করার স্বপ্ন যেমন মানুষের তেমন পশুপাখিরও আছে। একটি বাড়ি মানুষকে দেয় আশ্রয়, নিরাপদ আবাস আর পরিবার গড়ে তোলার সুযোগ। ছোট হোক বা বড়, যেমনই হোক না কেন, আমাদের সবারই আছে একটি করে স্বপ্নের বাড়ি বা বাড়ির স্বপ্ন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি আপনার বাড়িটি পরিপূর্ণ কি না? পরিপূর্ণ বাড়ির জন্য চাই পরিপূর্ণ টয়লেট। কাচা হোক কিংবা পাকা বাড়ি, বস্তি হোক বা ফ্ল্যাট, সবক্ষেত্রেই থাকতে হবে পরিপূর্ণ টয়লেট।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন-এর টঙ্গী এবং গাজীপুর (জয়দেবপুর ও সদর) এলাকায় স্যানিটেশন বিষয়ে এক জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ পরিবারের টয়লেট সুবিধা থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টয়লেট অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর। ৪০% বাড়ির টয়লেটের মল সরাসরি গিয়ে পড়ছে ডে্েরন, জলাশয়ে এবং খোলা জায়গায়। আবার, প্রায় ৫০% বাড়ীর মল মল জমা হচ্ছে সেপটিক ট্যাংকে। টয়লেটে ব্যবহার করা দূষিত বর্জ্যপানিও সেপটিক ট্যাংকে আসছে। মলতো সেপটিক ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হলো, প্রশ্ন হলো সেপটিক ট্যাংক থেকে বর্জ্যপানি কোথায় যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৯% সেপটিক ট্যাংক থেকে দূষিত বর্জ্যপানি সরাসরি ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। সেখান থেকে জলাশয়, নদী বা খালে।
ক্যাম্পেইন সম্পর্কিত তথ্য
বাড়ি করার স্বপ্ন যেমন মানুষের তেমন পশুপাখিরও আছে। একটি বাড়ি মানুষকে দেয় আশ্রয়, নিরাপদ আবাস আর পরিবার গড়ে তোলার সুযোগ। ছোট হোক বা বড়, যেমনই হোক না কেন, আমাদের সবারই আছে একটি করে স্বপ্নের বাড়ি বা বাড়ির স্বপ্ন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি আপনার বাড়িটি পরিপূর্ণ কি না? পরিপূর্ণ বাড়ির জন্য চাই পরিপূর্ণ টয়লেট। কাচা হোক কিংবা পাকা বাড়ি, বস্তি হোক বা ফ্ল্যাট, সবক্ষেত্রেই থাকতে হবে পরিপূর্ণ টয়লেট।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন-এর টঙ্গী এবং গাজীপুর (জয়দেবপুর ও সদর) এলাকায় স্যানিটেশন বিষয়ে এক জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ পরিবারের টয়লেট সুবিধা থাকলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টয়লেট অনিরাপদ, অস্বাস্থ্যকর। ৪০% বাড়ির টয়লেটের মল সরাসরি গিয়ে পড়ছে ডে্েরন, জলাশয়ে এবং খোলা জায়গায়। আবার, প্রায় ৫০% বাড়ীর মল মল জমা হচ্ছে সেপটিক ট্যাংকে। টয়লেটে ব্যবহার করা দূষিত বর্জ্যপানিও সেপটিক ট্যাংকে আসছে। মলতো সেপটিক ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হলো, প্রশ্ন হলো সেপটিক ট্যাংক থেকে বর্জ্যপানি কোথায় যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৯% সেপটিক ট্যাংক থেকে দূষিত বর্জ্যপানি সরাসরি ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। সেখান থেকে জলাশয়, নদী বা খালে।
কিন্তু, আদর্শ টয়লেট হলো যেখানে টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক থাকবে। যেখানে টয়লেট থেকে আসা মলের শক্ত অংশ আংশিক পরিশোধিত হয়ে সেপটিক ট্যাংকের নীচে জমা হতে থাকবে। আর, সেপটিক ট্যাংক-এর সঙ্গে থাকবে সোকওয়েল। সেপটিক ট্যাংক-এর দূষিত বর্জ্যপানি ড্রেনে না গিয়ে সোকওয়েলে গিয়ে পড়বে। সোকওয়েলের সঙ্গে পানির ফিল্টারের তুলনা করা যায়। পানির ফিল্টারের মতো সোকওয়েলে আসা বর্জ্যপানি বিভিন্ন স্তরে ফিল্টার হয়ে জীবাণুমুক্ত পানি মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল যদি না থাকে তবে কি কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
প্রথমতঃ বর্ষাকালে খোলা ড্রেন উপচে পড়ে রাস্তায় মল এবং দূষিত নোংরা পানি চলে আসতে পারে। আপনার দৈনন্দিন জীবনে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। একইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়বে জীবাণু ও রোগবালাই।
দ্বিতীয়তঃ এই মল এবং সেপটিক ট্যাংক থেকে দূষিত নোংরা বর্জ্যপানি মিশছে নদী, জলাশয়, খালের পানিতে। দূষিত করছে আমাদের পানিকে, হুমকির মুখে পড়ছে মাছসহ অন্য জলজ প্রাণী, এই পানি ব্যবহারে আমরা হয়ে পড়ছি অসুস্থ। খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো এই জীবাণুগুলো চলে যাচ্ছে মাটির নীচের পানির স্তরে। সেই দূষিত পানি আমরা উঠিয়ে ব্যবহার করছি।
তৃতীয়তঃ এই পানিতে ই-কোলাইসহ বিভিন্ন জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যাকিনা ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করছে শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের।
চতুর্থতঃ এই মল এবং মলমিশ্রিত পানি আমাদের শহরের পরিবেশকে করে তুলছে অপরিচ্ছন্ন এবং নোংরা। এবং সবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী প্রতিটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল থাকা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রকৃতিতে বা পানিতে মল বা সেপটিক ট্যাংকের পানি ফেলা একটি দণ্ডনীয়অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হলো ৫,০০০ টাকা এবং এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে প্রতিদিনের জন্য অনধিক ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন পরিপূর্ণ টয়লেট তবেই পরিপূর্ণ বাড়ি শীর্ষক একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছে। পরিপূর্ণ টয়লেট-এর জন্য দরকার তিনটি জিনিস- টয়লেট, সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল। তাই, নগরবাসীকে সচেতন করতে এবং সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের এই প্রচারাভিযান।
রেটিং সিস্টেম
টয়লেট সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল-এর সঙ্গে যুক্ত নয়। অতএব, টয়লেট থেকে মল এবং বর্জ্য পানি সরাসরি ড্রেনে বা খোলা জায়গায় যাচ্ছে। সুতরাং, এটা অপরিপূর্ণ টয়লেট এবং সাথে সাথে বাড়িটিও অপরিপূর্ণ।
টয়লেট সেপটিক ট্যাংক-এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, সোকওয়েল নেই। ফলে, সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য পানি ড্রেনে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে জলাশয় বা নদীতে যাচ্ছে। সুতরাং, টয়লেটটি আংশিক পরিপূর্ণ সাথে সাথে বাড়িটিও আংশিক পরিপূর্ণ।
টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল উভয়ই রয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের নিচে মল জমা থাকে এবং সেপটিক ট্যাংক-এর বর্জ্য পানি সোকওয়েল নিরাপদে ফিল্টার করে। বর্জ্যপানি ড্রেনে প্রবেশ করে না। সুতরাং, এটা পরিপূর্ণ টয়লেট এবং বাড়িটিও পরিপূর্ণ।